বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মীনি তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, বিগত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে বিএনপি। এতে নেতা কর্মিরা জেলজুলুম আর নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। দাবি ছিল তত্ত্ববধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্টু নির্বাচন। পরে তা না মানায় দাবি উঠে হাসিনার পতন। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে দেশের সর্বস্তরের জনগন ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে। বিশ্বের ইতিহাসে এটাই প্রথম যে, কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছে। কিন্তু হাসিনা পতনের পরে অন্তবর্তি সরকারের কাছে সকলের প্রত্যাশা ছিল নির্বাচনের জন্য উল্লেখ্যযোগ্য কিছু সংস্কার করে একটি সুষ্টু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। তবে, হতাশার বিষয় হলো এখন পর্যন্ত সংস্কারে তেমন উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এতে করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসররা এই সুযোগ নিয়ে দেশে অস্তিরতা করছে। তিনি বলেন, বিএনপির জনসমর্থন দেখে তারা বুঝতে পারছে যে, নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে। তারা কোনভাবেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চায় না। এজন্য এখন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন কেউ কেউ। আমরা তা হতে দিব না। প্রয়োজনে আবার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি সুষ্টু নির্বাচন আদায় করেই ছাড়বো। নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি দল করে কোনভাবে কোন অপকর্মের সাথে কেউ জড়িত থাকতে পারবে না। সবাই নিজ নিজ এলাকায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে মানুষের সমর্থন আদায় করতে হবে।
শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সদর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও নিখোজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীকে ফিরে পেতে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের সদস্য রুমেল আহমদ এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হোসাইন আহমদ প্রভেল, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক আক্তার আহমদের যৌথ পরিচালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভারপ্রাপ্ত গৌছ আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. মাহবুব আলম জহির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মোনায়েম খান, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলাম, উপজেলা বিœেপির যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুমিন মামুন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান রিপন। আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হাসান হাফিজুর রহমান টিপু, উপজেলা বিএনপির সদস্য উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সামছুল ইসলাম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান আলী, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হিরণ মিয়া , সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ শাহজাহান, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক সাহেল আহমদ, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দুলাল আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফাহিম আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহমদ, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল ওদুদ। এসময় উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মি উপস্থিত ছিলেন।